শাহরাস্তিতে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণ
জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া : শাহরাস্তিতে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
‘শাহরাস্তি মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ২০২৪ সালের মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র, বৃত্তি এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানা।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। মেধাবীদের যথাযথভাবে অনুপ্রাণিত করলে তারাই একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ কামাল হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্স গ্রুপের এজিএম প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুর রহমান রাজিব, শাহরাস্তি কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আলী আজগর মিয়াজী, চমক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ মোস্তফা কামাল এবং খোরশেদা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সাইফুল করিম মিনার।
এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁদের মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলেন শাহরাস্তি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোঃ কাজী সোহাগ হোসেন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
সঞ্চালনায় ছিলেন সরকারি শিক্ষক বিজয় লাল দে, যিনি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁকে সহায়তা করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকগণ।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে হাজীগঞ্জ পশ্চিম হাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাইফা শরীফের বক্তব্য।
ফাউন্ডেশনসূত্রে জানা গেছে,
চলতি বছরের মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে মোট ২০৯ জন শিক্ষার্থী বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হন।
এর মধ্যে ২০ জন ‘গোল্ডেন ট্যালেন্টপুল’, ৪১ জন ‘ট্যালেন্টপুল’ এবং ১৪৮ জন ‘সাধারণ গ্রেডে’ মেধাবৃত্তি লাভ করেন।
এই আয়োজন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদর্শনেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি নতুন প্রজন্মকে শিক্ষার প্রতি অনুপ্রেরণা জোগাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের এমন স্বীকৃতি ভবিষ্যতে তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে এবং আরও বড় লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন আয়োজক ও অতিথিরা।

