শাহরাস্তিতে বিজয়পুর-নাহারাকালভার্ট সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

বিজয়পুর-নাহারাকালভার্ট সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

উপজেলা সংবাদ শাহরাস্তি উপজেলা স্লাইড

 বিজয়পুর-নাহারাকালভার্ট সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ, এলাকাবাসীর উদ্বেগ

শাহরাস্তিতে বিজয়পুর-নাহারাকালভার্ট সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগস্টাফ রিপোর্টার : শাহরাস্তিতে বিজয়পুর-নাহারাকালভার্ট সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ কারণে এলাকাবাসীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উপজেলার বিজয়পুর থেকে নাহারাকালভার্ট পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে মানহীন কাজ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর অর্থায়নে বাস্তবায়িত এ প্রকল্প ঘিরে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বিজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট থেকে শুরু করে নাহারাকালভার্ট পর্যন্ত প্রায় ৫৩০ মিটার দীর্ঘ সড়কটির উন্নয়নকাজে বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা।

এই বরাদ্দের আওতায় গার্ডওয়াল ও কার্পেটিং কাজসহ রাস্তার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ,

নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট, বালু ও অন্যান্য উপকরণে ব্যাপকভাবে নিম্নমান বজায় রাখা হচ্ছে।

ইটের পরিবর্তে ভঙ্গুর ও মানহীন ইট এবং বালুর সঙ্গে মাটি মিশিয়ে কাজ করায় রাস্তাটি নির্মাণের শুরুতেই দুর্বল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এ বিষয়ে ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন জানান,

কাজের মান নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি এবং বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে জানিয়েছি।

স্থানীয়দের কাছ থেকেও একাধিকবার অভিযোগ পেয়েছি।

স্থানীয়দের মতে, প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে না।

নির্মাণ শেষে কিছুদিনের মধ্যেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে এবং রাস্তার বিভিন্ন অংশ ভেঙে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

এতে করে সরকারি অর্থের অপচয়ের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এর বক্তব্য

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন,

“চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হলেও ঠিকাদার তা মানছেন না।

এলাকাবাসীর স্বার্থে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”

উপজেলা প্রকৌশলী সৌরভ দাস জানান, “আমরা ইতোমধ্যে কাজের মান যাচাই করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

কাজের মান যদি চুক্তি অনুযায়ী না হয়, তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কাজ এলজিইডির নির্ধারিত মান বজায় রেখে সম্পন্ন করা হবে এবং প্রতিষ্ঠানটি কাজ বুঝে নেবে।

স্থানীয় জনগণ দাবি করছেন, প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর তদন্ত ও নজরদারি প্রয়োজন, যেন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো টেকসই ও জনগণের উপকারে আসে।

Daily Chandpur Sangbad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *