বাবুরহাটরে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও গণসংযোগ
ওমর শরীফ : বাবুরহাটরে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও গণসংযোগ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও তারুণ্যের
অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশব্যাপী গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করতে
চাঁদপুরের বাবুরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা ও গণসংযোগ।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট বাজারস্থ হাজী আব্দুল মান্নান মাল কমিউনিটি সেন্টারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
জাসাস চাঁদপুর জেলা শাখা এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি,
এমদাদুল হক মিলন এর সঞ্চালনায়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস.এম. কামাল চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস.এম. কামাল চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। ভোটাধিকার, মানবাধিকার,
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সব কিছু আজ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন।
এই ৩১ দফা হচ্ছে জাতির মুক্তির রূপরেখা—যেখানে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা,
জনগণের অধিকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিএনপির প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন— ছাত্রদল,
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল—দলীয় আন্দোলনের ভিত্তি। এগুলো হলো বিএনপির শক্তিশালী পিলার। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আমি নেতাকর্মীদের বলছি, নিজেদের মধ্যে বিভেদ নয়, ঐক্য চাই। যার হাতে দল দায়িত্ব দেবে, তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে গেলে আবার দেশ অশুভ ধারার ফাঁদে পড়তে পারে।
দেশের ভাবমূর্তি ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।”
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,
বৈদেশিক সম্পর্ক উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আজম খান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আজম খান বলেন—বাংলাদেশে এতো বছর নামেই গনতন্ত্র ছিলো, কথা বলার অধিকার ছিলো নাহ ইচ্ছে মতে।
এই ফ্যাসিবাদ এখন পতন হয়েছে এদেশের মানুষ জুলাই আন্দোলন এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা আর খুনি হাসিনাকে চায় নাহ ।
এ অবস্থায় তারেক রহমান একটি সাহসী রূপরেখা দিয়েছেন— ৩১ দফা। আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।
আমি চাঁদপুর-৩ আসনের জনগণের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা গড়ে তোলা আমার লক্ষ্য।
আমি রাজনীতি করি সেবার জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়।আমি নেতাকর্মীদের বলছি— মারামারি, কাটা-কাটি নয়।
আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যাকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেবেন, আমরা তার হয়েই কাজ করবো।
আমাদের মার্কা ধানের শীষ। তাই সবাইকে সংগঠিত ও শৃঙ্খলিত হয়ে দলের আদর্শে কাজ করতে হবে।
জনগণের কাছে যেতে হবে, ৩১ দফা নিয়ে কথা বলতে হবে, মানুষকে আন্দোলনের অংশীদার করতে হবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদল ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, জেলা বিএনপি,
শাহ নেওয়াজ খান, আহ্বায়ক, জাসাস চাঁদপুর জেলা শাখা এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি, এমদাদুল হক মিলন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা সাহাদাত খান।
বক্তারা বলেন, এখন আর নিরব থাকার সময় নয়। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, গণতন্ত্র পূর্নরুপে ফিরে পেতে চায়।
তাই তারেক রহমানের ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই জাতির মুক্তি সম্ভব।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা বিএনপি ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন এর নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

