চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো লেখকদের প্রাণবন্ত ঈদ পুনর্মিলনী
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের উদ্যোগে এক উজ্জ্বল সাহিত্যিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো লেখকদের ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৫।
১২ এপ্রিল (শনিবার) চাঁদপুর রিসোর্টে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্তরের প্রায় অর্ধশতাধিক সাহিত্যিক, কবি এবং সাহিত্যপ্রেমী অংশগ্রহণ করেন।
ঈদ পরবর্তী এই মিলনমেলাটি বিকেল ৪টায় লেখকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
এরপর পরিচিতি পর্বে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং বিগত কমিটির নেতৃত্বকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
সাহিত্য মঞ্চের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান বাবলু তার বক্তব্যে নতুন ও পুরনো নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন নবনির্বাচিত সভাপতি কবি ও গল্পকার আশিক বিন রহিম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাদ আল আমিন।
সাবেক সভাপতি ইসলাম মানিক নবগঠিত কার্যকরী পরিষদের নাম ঘোষণা করেন।
দ্বিতীয় পর্ব
বিকেল ৫টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব – ঈদ পুনর্মিলনী ও সাহিত্য আয়োজন।
উপকমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ হানিফ এবং সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম শান্তর নেতৃত্বে চলে সাহিত্য পাঠ, আবৃত্তি ও স্মৃতিচারণ।
এ সময় অংশ নেন চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও লেখক কাদের পলাশ, কবি মুখলেছুর রহমান ভূঁইয়া, দ্যন্তন ইসলাম, নুরুন্নাহার মুন্নি, কাজী রাসেল, মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, জাহিদ নয়ন, সামিয়া আলম, এএম সাদ্দাম হোসেন, নুরুন নাহার নিশি ও ইয়াছিন দেওয়ানসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন,
সাহিত্য মানুষকে মানবিকতার পথে পরিচালিত করে। একটি সমৃদ্ধ সমাজ নির্মাণে সাহিত্যিকদের অবদান অনস্বীকার্য।
চাঁদপুর বর্তমানে দেশের সাহিত্য অঙ্গনে এক উজ্জ্বল পরিচিতি অর্জন করেছে, যা এই অঞ্চলের লেখকদের একান্ত চেষ্টারই ফল।
তারা আরও বলেন,
লেখকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এমন আয়োজন খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। সাহিত্য মঞ্চের এমন প্রচেষ্টা সাহিত্যিকদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করে এবং একে অপরের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য মঞ্চের অর্থ সম্পাদক নার্গিস তন্বী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আহসান আরিফ নিলয়, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইমরান নাহিদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হোসেন বেপারী, লেখক এ এস পলাশ, বাঁধন চন্দ্র শীল, মো. কামরুল হাসান এবং অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। পুরুষ লেখকদের জন্য হাড়িভাঙা প্রতিযোগিতা, নারীদের বালিশ খেলা এবং শিশু-কিশোরদের বেলুন ফাটানো ছিল দর্শনীয় ও আনন্দময়।
র্যাফেল ড্র
পরবর্তীতে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সমগ্র আয়োজনকে সফল করে তুলতে সহায়তা করেন প্রবীণ লেখক আব্দুল্লাহিল কাফি, প্রবাসী নাট্যকার জাহাঙ্গীর আলম, সংগঠক ফিরোজ আলম, কবির হোসেন মিজি, এইচ এম জাকিরসহ আরও অনেকেই।
এ আয়োজন সাহিত্যচর্চার ধারাকে আরও গতিশীল করে তুলবে—এমন প্রত্যাশাই রয়ে গেল অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে।

