ফরিদগঞ্জে ৯২ বস্তা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ, দুই জনের শাস্তি
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি : ফরিদগঞ্জে ৯২ বস্তা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল অবৈধভাবে মজুদ ও
বিক্রির অভিযোগে এক দোকান মালিককে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া প্রায় তিন টন চাল নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোয়ালভাওর বাজারের একটি দোকান থেকে ৩০ কেজি ওজনের মোট ৯২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। এ সময় দোকান মালিক সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অভিযানে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল বেপারীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে।
অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া।
তিনি সোহেল বেপারীকে উপজেলা কার্যালয়ে ডেকে এনে নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অপরদিকে দোকান মালিক সাইফুল ইসলামকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উদ্ধারকৃত চাল উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক জামাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে জব্দ করে খাদ্য বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন,
সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২৩’-এর আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জরিমানা হওয়া সোহেল বেপারী গোবিন্দপুর গ্রামের শাহ আলম বেপারীর ছেলে এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম একই গ্রামের অলিউল্লাহ বেপারীর ছেলে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, “সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুদ ও
বিক্রির অপরাধে একজনকে কারাদণ্ড এবং আরেকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত চাল খাদ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
অভিযানের পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল কীভাবে দোকানে এল,
সেটি একটি বড় প্রশ্ন। তারা প্রশাসনের প্রতি বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

