মতলব উত্তরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রী ও কন্যাকে কুপিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার : মতলব উত্তরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রী ও কন্যাকে কুপিয়ে জখম করার খবর পাওয়া গেছে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় গাছ কাটার বিরোধকে কেন্দ্র করে এক দম্পতি ও তাদের মেয়েকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন আকরাম হোসেন (৭০), তার স্ত্রী সালেহা বেগম (৫৫) এবং তাদের কন্যা এ্যানি (২৩)।
বর্তমানে তারা মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় সালেহা বেগম বাদী হয়ে কলাকান্দা গ্রামের শিপন মিয়াজী (৫০), ইমরান মিয়াজী, মো. আতিক (৫০) সহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর ছেলে মো. সাহেদ জানান, শিপন মিয়াজী, ইমরান মিয়াজী, হান্নান মিয়াজী ও মো. আতিক তাদের পরিবারের জমির গাছ কাটছিলেন।
তার বাবা বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আকরাম হোসেনের ওপর হামলা চালায়।
পরবর্তীতে তার মা ও ছোট বোন তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরকেও আঘাত করা হয়।
এতে তাদের ঘাড়, পিঠ, মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত লাগে এবং আকরাম হোসেন মারাত্মক রক্তক্ষরণে শিকার হন।
বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে, অভিযুক্ত মো. আতিক দাবি করেন, ঘটনাটি শুধুমাত্র গাছ কাটার বিষয় নিয়ে সামান্য মারামারি ছিল। তিনি আরও বলেন, শিপন মিয়াজী অত্যন্ত উগ্র স্বভাবের এবং সে কারও কথা শোনেন না, যার ফলেই এই সংঘর্ষ ঘটে।
ত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
প্রত্যক্ষদর্শী মো. সোহেল সরকার জানান, গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে শিপন মিয়াজী ও তার সহযোগীরা আকরাম হোসেনের পরিবারকে আক্রমণ করে। তিনিই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, এই ঘটনা দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ফল।
গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক জানান, থানায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

