ফরিদগঞ্জে প্রবীণ বিএনপি নেতার ওপর হামলা : বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদগঞ্জে প্রবীণ বিএনপি নেতার ওপর হামলা : বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।
ফরিদগঞ্জে এক প্রবীণ বিএনপি নেতার ওপর দুবার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন সাখাওয়াত উল্যাহ (৭০) বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
তবে মামলা দায়েরের পরও ন্যায়বিচার নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তার পরিবার।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আহত সাখাওয়াত উল্যাহর স্ত্রী নিলুফা আক্তার ও কন্যা শামীমা ইয়াসছিম হীরা।
সেখানে তারা বিচারপ্রাপ্তির অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যাচ্ছিলেন সাখাওয়াত উল্যাহ।
পথে এমরান সর্দারের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় দেইচর স্কুলের সামনে পুনরায় হামলার শিকার হন তিনি। বর্তমানে তিনি ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশি হয়রানির শিকার হন তারা। পরবর্তী সময়ে মামলাটি রেকর্ড করা হলেও পুলিশ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং, হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তাদের হুমকির কারণে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হামলার ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন এমরান হোসেন সর্দার (৪০), মোঃ শরীফ (৩৪), আব্দুর রাজ্জাক (৫৮), মোঃ রনি (৩০), রাকিব সর্দার (২০), শামীম সর্দার (২৮) ও মোঃ রাকিব (২৮)।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ
সাখাওয়াত উল্যাহর পরিবার অভিযোগ করেছে, অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেন।
কিন্তু বর্তমান সরকার পরিবর্তনের পর তারা বিএনপি ও যুবদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে একই ধরনের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে পরিবারের দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্বজন ও সহকর্মীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও হুমকির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আহত সাখাওয়াত উল্যাহর ভাই আবিদ উল্যাহ, বিএনপি কর্মী মামুন খান, মোঃ মহিনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সাখাওয়াত উল্যাহর পরিবারের দাবি, তারা যাতে কোনো প্রকার হুমকি ছাড়া ন্যায়বিচার পান এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে তারা আরও বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

