হাজীগঞ্জে ভাঙচুর-লুটপাট মামলার পাঁচ আসামির কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি: হাজীগঞ্জে ভাঙচুর-লুটপাট মামলার পাঁচ আসামির কারাদণ্ড। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায়
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার এই আদেশ দেন।
আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলেও বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন— মহিন উদ্দিন (২৫), রাসেল ওরফে গোদা রাসেল (৩০), শুকু ওরফে শুকুর আলম (৪৮), আদর কাশারী (২০) এবং রায়হান কাশারী (২৫)।
তারা সবাই স্থানীয় শ্রমিকলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা
সংঘবদ্ধভাবে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারের “মেসার্স মার্সেল (ইলেকট্রোল্যান্ড)” নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে। পরে প্রতিষ্ঠানটিতে ভাঙচুর,
লুটপাট চালানো হয় এবং কর্মচারীদের উপর হামলা করা হয়। এতে তিনটি ফ্লোরের প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭১০ টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মূল ঘটনা
এ ঘটনায় ২০ আগস্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মিজানুর রহমান সেলিম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে মুক্ত থাকা এই পাঁচ আসামি মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কুহিনুর বেগম।
তার সঙ্গে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু, এপিপি ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম ও মুজাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. ইমাম হোসাইন।
হাজীগঞ্জের এই ঘটনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় নতুন মোড় নিলো।

