হাজীগঞ্জে জমি বিরোধের জেরে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ একই পরিবারের চারজন আহত
স্টাফ রিপোর্টার : হাজীগঞ্জে জমি বিরোধের জেরে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছে।
উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের খামার বাড়ি এলাকায় জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের রেশ ধরে হামলার শিকার হয়েছেন একই পরিবারের চারজন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীও।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন,
তার পিতার মৃত্যুর পর থেকে জমির দখল নিয়ে প্রতিবেশী মৃত শাহ আলমের পুত্র মিজান, রাজ্জাক ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।
সম্প্রতি স্থানীয় মুরব্বিদের মাধ্যমে জমি মাপজোকের উদ্যোগ নেওয়া হয়,
যা কিছুদিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করেই তাকে না জানিয়ে আবার শুরু করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, নতুন করে মাপজোক চালানোর সময় তাজুল ইসলামের বসতবাড়ির জায়গাকে অন্তর্ভুক্ত করে সেখানে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।
তাজুল ইসলাম বাধা দিলে মিজান, রাজ্জাক, লিটন, রিপন এবং তাদের সহযোগী ইউসুফসহ প্রায় ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়।
এতে তাজুল ইসলাম নিজে ছাড়াও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম, এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে রেখা আক্তার এবং আত্মীয় পারুল বেগম গুরুতর আহত হন।
তাদের প্রথমে হাজীগঞ্জ আলীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় এবং পরে সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
থানায় অভিযোগ
ঘটনার পরপরই তাজুল ইসলাম হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যেখানে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনাটি সম্পর্কে হাজীগঞ্জ থানার এসআই সাইখ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আহতদের চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন,
“এটি জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিষয় হওয়ায় উভয় পক্ষ স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে পারলে ভালো, না হলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তিনি বলেন,
“আমার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েসহ পরিবারের উপর যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর সুবিচার চাই।”
এই ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং তারা দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন।

