শিক্ষাবিদ এ টি আহমদে হোসাইন রুশদীর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষাবিদ এ টি আহমদে হোসাইন রুশদীর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
চাঁদপুরের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা এ টি আহমদে হোসাইন রুশদীর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ, ২০ জুন।
১৯৭৫ সালের এই দিনে তিনি ঢাকার হেলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর এই স্মরণীয় দিনে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪ নম্বর শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী গ্রামে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
শাহতলী জুলিয়ানী চিশতী কলেজসহ স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এই স্মরণসভা ও ধর্মীয় আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।
দিনব্যাপী কর্মসূচি
দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআন খতম, মরহুমের কবর জিয়ারত, কলেজ মিলনায়তনে মিলাদ মাহফিল এবং স্মরণসভা।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করবেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণকে।
জানা যায়, এ টি আহমদে হোসাইন রুশদী জীবদ্দশায় একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।
তবে তার জীবনের অন্যতম বড় কীর্তি ছিল শিক্ষা প্রসারে নিবেদিত থাকা।
তিনি শুধু নিজের এলাকায়ই নয়, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : শাহতলী কামিল মাদ্রাসা, শাহতলী জুলিয়ানী চিশতী কলেজ, জুলিয়ানী চিশতী উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর শাহতলী জোবাইদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর শাহতলী দাখিল মাদ্রাসা, মধ্য শাহতলী কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর শাহতলী যোবাইদা বালক ও বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হামানকর্দ্দিতে শাহতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাপানিয়া রুশদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনোপুর আগরজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সনেগাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লাকসাম উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকার দক্ষিণ মুহসন্দী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ইত্যাদি।
শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, মসজিদ-মাদ্রাসা এবং ধর্মীয়-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও ছিল তাঁর সক্রিয় ভূমিকা।
তিনি সমাজের শিক্ষাবঞ্চিত মানুষদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।
তাঁর এই অভাবনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন সরকার তাঁকে ‘গোল্ড মেডেল’ এবং ‘রুশদী’ উপাধিতে ভূষিত করে।
মাওলানা রুশদী ছিলেন একজন দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সমাজসংস্কারক, যিনি পরিশ্রম, সততা এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
আজ তাঁর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে পুরো এলাকা।
উল্লেখ্য, তিনি ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর খবরের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদীর দাদা।
