শাহরাস্তিতে গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ
শাহরাস্তি প্রতিনিধি : শাহরাস্তিতে গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলায় এক গৃহবধূর উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী জেসমিন আক্তার (২২) দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী ও ভাবির মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠায় এবং সেই সম্পর্ককে ঘিরেই তাঁর উপর চালানো হয়েছে নির্মম নির্যাতন। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার আহম্মদনগর এলাকার মন গাজী বাড়িতে।
নির্যাতনের শিকার জেসমিন শাহরাস্তি থানায় তাঁর স্বামী আব্দুল করিম (৩২) ও ভাবি তানিয়া বেগমের (২৬) বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।
জেসমিন আক্তার তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রায় সাত বছর আগে ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী আব্দুল করিমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
তাদের সংসারে রয়েছে দুটি কন্যাসন্তান। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও ধীরে ধীরে স্বামীর আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন জেসমিন।
তিনি জানান, তাঁর স্বামী করিম ও ভাবি তানিয়ার মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিষয়টি তিনি টের পেয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো তাঁর উপর শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন।
জেসমিনের অভিযোগ অনুযায়ী, তানিয়া বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি করিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
একপর্যায়ে জেসমিনকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং তাঁর ছোট ছোট মেয়েরা রেখে দেওয়া হয় স্বামীর হেফাজতে।
ঘটনার দিন, জেসমিন একা থাকাকালে তানিয়া বেগম হঠাৎ তার উপর হামলা চালান। কিল-ঘুষির পাশাপাশি কাঠের লাঠি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন। আঘাতটি সরাসরি মাথায় না লেগে গিয়ে পড়ে বাম কানে, ফলে জেসমিন গুরুতর আহত হন এবং কানে রক্তক্ষরণ হয়। তাঁর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তানিয়া বেগম পালিয়ে যান।
বর্তমানে জেসমিন শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল করিম বলেন, “পরকীয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কোনো মারামারির বিষয়েও কিছু জানি না।”
এ বিষয়ে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এই ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সামাজিকভাবে এ ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে বলে জানা গেছে।

