মতলব পৌরসভায় এক রাতে ১০ বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি, আতঙ্কে এলাকাবাসী
জাহাঙ্গীর আলম প্রধান : মতলব পৌরসভায় এক রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল তিনটি গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়িতে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এই চুরির ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবকলস, উত্তর নলুয়া ও মোবারকদী গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।
সংঘবদ্ধ চোররা প্রথাগত কায়দায় ‘সিঁধকাঠি’ নামে একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে ঘরে প্রবেশ করে।
এরপর ঘরের ভেতর থেকে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা এবং অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন নবকলস গ্রামের রাজমিস্ত্রী হাবিব উল্লাহ ও সোবহান, উত্তর নলুয়ার সুশীল ও বাশার বেপারী,
মোবারকদী গ্রামের লোকমান গাজী, আবুল হাসেম প্রধানীয়া, জয়দল গাজী ও মাস্টারবাড়ির খালেক।
তাদের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন, পোশাক, নগদ অর্থসহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
সুশীল নামের এক ক্ষতিগ্রস্ত বলেন, “চোররা আমার ঘরের দুটি জায়গা সুরঙ্গ করে ভেতরে ঢুকে মোবাইল ফোন ও কাপড়-চোপড় নিয়ে গেছে।”
ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় কামাল উদ্দিন বিপ্লব জানান, “নব্বইয়ের দশকের পর এভাবে একযোগে এত বাড়িতে চুরির ঘটনা আর ঘটেনি।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাতে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা এলাকায় ঘোরাঘুরি করে এবং এই চুরির ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগসূত্র থাকতে পারে।
নাজমুল হক নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এভাবে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা বহু বছর হয়নি। এখন আমাদের নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। পুলিশের টহল বাড়ানো দরকার।”
এ বিষয়ে মতলব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ জানান, “এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের অপরাধ দমনে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
এদিকে এলাকাবাসী দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

