মতলব দক্ষিণে দুইটি অগ্নিকাণ্ডে প্রতিবন্ধীর ঘর ও ৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই
জাহাঙ্গীর আলম প্রধান : মতলব দক্ষিণে দুইটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতদরিদ্র প্রতিবন্ধীর বসত ঘরসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ৫টি দোকান আগুনে ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নগদ অর্থসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রাত সাড়ে ৩টায় মতলব পৌরসভার মধ্য দিঘলদী তাফালিং বাজারে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে মোঃ আল আমিন প্রধানের বিকাশের দোকান, হাসান গাজীর কাঁচা মালের দোকান,
বিল্লাল বেপারীর চা-বিস্কিটের দোকান, বাবুল গাজীর টেইলারিং দোকানসহ দোকানগুলির সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়।
বিল্লাল বেপারীর চা-বিস্কিটের দোকানের ক্যাশে রাখা ১০ হাজার টাকা আগুনে নষ্ট হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন
গভীর রাতে আগুন লাগায় ক্ষণিকের মধ্যে সবকিছু পুড়ে গেছে। তাদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। রাত পোনে ৫টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইউসুফ মিয়া বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং
স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে আগুনের তীব্র লেলিহান শিখা থেকে কোনো ব্যবসার মালামাল রক্ষা করা যায়নি।
একই দিনে দুপুর দেড়টায় উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর পিংড়া গ্রামে গাজী বাড়ীতে আরেকটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এতে প্রতিবন্ধী জসিম উদ্দিন গাজীর চৌচালা টিনের ঘর ও তার মায়ের দু’চালা বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়।
এছাড়া বিলাল গাজীর বসত ঘরের একটি অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জসিম উদ্দিন জানান, তাঁর ঘরে থাকা প্রতিবন্ধী কার্ডসহ সব মালামাল ও
আসবাবপত্র আগুনে ধ্বংস হয়েছে, যার ক্ষতি প্রায় এক লাখ টাকা। তার মায়ের ও বিলাল গাজীর ক্ষতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।
দুটি অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমজাদ হোসেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন।
তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতা সুলতান সরকার, শাহাদাত হোসেন ও সোহেল জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন।
এই ব্যবসার আয়েই তাদের পরিবার চলে। আগুনে সব সম্বল পুড়ে যাওয়ায় তারা বিপর্যস্ত। এলাকাবাসী সরকারী সহায়তার জন্য দাবি জানিয়েছেন।

