মতলব উত্তরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মৎস্য ফিসারী দখল নিয়ে উত্তেজনা

মতলব উত্তরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মৎস্য ফিসারী দখল নিয়ে উত্তেজনা

উপজেলা সংবাদ প্রধান সংবাদ মতলব উত্তর উপজেলা

মতলব উত্তরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মৎস্য ফিসারী দখল নিয়ে উত্তেজনা

IMG-20250307-WA0013স্টাফ রিপোর্টার: মতলব উত্তরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি মৎস্য ফিসারী দখলকে কেন্দ্র করে উপজেলার গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর গ্রামের ৬৪ শতাংশ নাল জমির ফিসারী দখল নিয়ে মৈসাদী গ্রামের মামুন মনির ও আলী আরশাদ গংদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।

ওই জমির দাগ নম্বর ১২৯, ১৩০, ১৩৩, ১৩৫, ১৩৬, ১৩৮, ৫০২, ৪০।

১৯৯১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এই জমি একর করে নেয়, তবে স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তারা এ জমি ভোগদখল করে আসছিলেন।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

আনিছুর রহমানের দাবি,

কৃষ্ণপুর গ্রামের ২৫টি পরিবারের বসতভিটা থাকা জমি ১৯৯১ সালে সরকার একর করলেও, বহু বছর তারা সেখানে বসবাস ও মাছ চাষ করেছেন।

কিন্তু পরে মামুন মনির ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক ফিসারীটি দখল নেয় এবং পরবর্তীতে কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. আব্দুল গণির কাছে লিজ দেয়।

আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন,

যখন তারা দখল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেন, তখন মামুন মনির তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেন এবং ভয়ভীতি দেখান।

অন্যদিকে, মামুন মনির দাবি করেন,

তিনি ১৯৯২ সাল থেকেই উক্ত মৎস্য ফিসারী ব্যবহার করে আসছেন। তিনি বিদেশ যাওয়ার সময় আব্দুল গণির কাছে ফিসারীটি লিজ দিয়েছিলেন।

সম্প্রতি দেশে ফিরে আসার পর তিনি আবার নিজের দখল ফিরিয়ে নেন।

তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার সকালে আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন ফিসারীটির চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে দখল নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন।

স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতিক্রিয়া

গজরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ইকবাল হোসেন জানান,

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবে আলোচনা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

এদিকে, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহেদ সালাম বলেন,

“পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা অবৈধভাবে কেউ দখল করতে পারবে না। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

সামাজিক শান্তি ও আইনি সমাধানের দাবি

স্থানীয়দের মতে, এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে, যা এখন সংঘাতের রূপ নিতে পারে।

তাই বিষয়টি দ্রুত প্রশাসনিকভাবে সমাধান করা প্রয়োজন।

ইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে এবং উভয় পক্ষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Daily Chandpur Sangbad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *