মতলব উত্তরে জহিরাবাদে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মতলব উত্তরে জহিরাবাদে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নে সরকারি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নিবন্ধিত জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল তাদের প্রাপ্য পরিমাণের চেয়ে কম দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, মা ইলিশ সংরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুই মাস নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় তিগ্রস্ত জেলেদের
জন্য জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
তবে বাস্তবে জেলেরা পাচ্ছেন মাত্র ২৭ থেকে ২৮ কেজি করে, যা নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
অনেক কার্ডধারী জেলে অভিযোগ করেছেন, “আমাদের কার্ড বৈধ থাকা সত্ত্বেও ৪০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও আমরা পাচ্ছি কম।
এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, অথচ কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাল বিতরণের সময় ৪০ কেজির পরিবর্তে ৩০ কেজির বস্তা দেওয়া হচ্ছে, তবে জেলেদের দাবি,
এসব বস্তায় প্রকৃত ওজন ২৭-২৮ কেজির বেশি নয়। বিতরণ কার্যক্রমের সময় ট্যাগ অফিসারকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সেলিম রেজা এ বিষয়ে বলেন, “আমাদের ইউনিয়নে ৮৪১ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন,
কিন্তু বরাদ্দ পেয়েছি ৭৬৬ জনের জন্য। তাই সমন্বয় করে সবাইকে ৩০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস স্পষ্টভাবে বলেন, “প্রত্যেক কার্ডধারী জেলেকে ৪০ কেজি চাল দেওয়া বাধ্যতামূলক, কম দেওয়ার সুযোগ নেই।”
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমি সুপারভাইজার ও জহিরাবাদ ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান,
“সকালে চাল বিতরণের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তবে দুপুরে খাওয়ার জন্য বাসায় চলে এসেছি। বরাদ্দ কম থাকায় সমন্বয় করে ৩০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে।”
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি অভিযোগের বিষয়ে বলেন, “এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৪০ কেজি চাল নিশ্চিত করতে হবে এবং কার্ড সংশোধনের প্রক্রিয়াও দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।”
জেলেরা দ্রুত এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকে সঠিক পদপে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

