মতলবে সেফটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মতলবে সেফটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

উপজেলা সংবাদ মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্লাইড

মতলবে সেফটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মতলবে সেফটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাস্টাফ রিপোর্টার : মতলবে সেফটি ট্যাংকি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।  মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘোড়াধারী পাটোয়ারী বাড়িতে একক বসতঘরে ৫ সন্তানের জননী রুপালি বেগম (৩৭) কে তার চতুর্থ স্বামী জামাল গাজী কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকির ভেতর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

১১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।

পারিবারিক সম্পর্ক ও পটভূমি

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত রুপালি বেগম ঘোড়াধারী গ্রামের কালু পাটোয়ারীর মেয়ে।

একাধিকবার বিয়ে হওয়া রুপালির সর্বশেষ বিয়ে হয় প্রায় এক বছর আগে পটুয়াখালীর জামাল গাজীর সঙ্গে,

যিনি ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে অশান্তি দেখা দেয়।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও জামালের নিয়মিত বিরোধ ছিল। যেহেতু তাদের বাড়িটি এককভাবে বসবাসের জন্য ব্যবহার হতো,

তাই বাইরের কেউ তাদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব সম্পর্কে খুব একটা অবগত ছিল না।

ঘটনার বিবরণ

গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে রুপালির বড় ছেলে টিপু পাটোয়ারী হঠাৎ শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে মাকে তার স্বামী জামালের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি দুজনকে থামানোর চেষ্টা করে নিজের কক্ষে ফিরে যান এবং পরে ঘুমিয়ে পড়েন।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে তাকে ও জামালকে খুঁজতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় সন্দেহ ঘনীভূত হয়। দিনভর খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার রাতে রুপালির মা কান্নারত অবস্থায় বাড়ির পাশের সেফটি ট্যাংকির ঢাকনা খানিকটা খোলা দেখতে পান। ঢাকনা সরিয়ে ভেতরে তাকিয়ে রুপালির নিথর দেহ দেখতে পান তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসী এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশের তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ

ঘটনাস্থলে পৌঁছে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালেহ আহাম্মদ জানান, নিহতের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা স্পষ্টভাবে হত্যার প্রমাণ বহন করে। তিনি আরও বলেন, “ঘটনার পর থেকে জামাল গাজী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে।”

নিহত রুপালির ছেলে টিপু পাটোয়ারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে জামাল গাজীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত আসামিকে গ্রেফতার ও উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।

Daily Chandpur Sangbad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *