মতলবে পুকুরে ভেসে উঠল অটোচালকের মরদেহ
স্টাফ রিপোর্টার : মতলবে পুকুরে ভেসে উঠল অটোচালকের মরদেহ। উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের গোপালকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি পুকুর থেকে হাবিবুর রহমান (৫৫) নামের এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত হাবিবুর রহমানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার গন্ধব্যপুর গ্রামে হলেও তার শ্বশুরবাড়ি মতলব উত্তরের পুটিয়ারপার গ্রামে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাবিবুর রহমান পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও চার সন্তান রয়েছে—দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে।
অতীতে এই পরিবারে আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে; সাত বছর আগে হাবিবুরের বড় ছেলে বিপ্লব তার নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গত ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে হাবিবুর রহমান নিখোঁজ হন। প
রদিন ১১ জুলাই শুক্রবার সকালে গোপালকান্দি এলাকার এক নারী, কুলসুমা বেগম, পুকুরে ভাসমান মরদেহটি দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
তিনি জানান, নিহতের বাম চোখের নিচে জখম রয়েছে এবং গলায় নখের আঁচড়ের মতো চিহ্ন দেখা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পরিত্যক্ত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ফোনটি চালু করে ডায়াল লিস্ট ঘেঁটে পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।
নিহতের বড় জামাতা নিজাম উদ্দিন জানান, “বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে লেংটার মেলায় যাওয়ার কথা বলেন।
পরদিন সকালে পুলিশ তার মোবাইল নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে। ডেমরা থেকে এসে আমি তার মরদেহ শনাক্ত করি।
শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
তবে এটি আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড—তা এখনও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত জানার জন্য মরদেহটি চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।

