ফরিদগঞ্জে কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ

ফরিদগঞ্জে কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ

উপজেলা সংবাদ প্রধান সংবাদ ফরিদগঞ্জ উপজেলা

ফরিদগঞ্জে কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ

ফরিদগঞ্জে কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি : ফরিদগঞ্জে কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

কবরস্থানের জমি দখলে বাধা দেওয়ায় ওই প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলা করা হয় ।

ঘটনাটি ঘটেছে গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে, রাঢ়ী বাড়িতে। জমি সংক্রান্ত এ ঘটনা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগ থেকে জানা গেছে,

বহু বছর আগে মারা যান মোছলেম রাঢ়ী। মৃত্যুর আগে তিনি বাড়ির কবরস্থানের পাশাপাশি নিজের নামে আরও ২ শতক জমি রেখে যান, যা বর্তমানে তার স্ত্রী তফুরির নেছার দখলে রয়েছে।

সেখানে তিনি গাছপালা রোপণ করে জমিটি দেখাশোনা করতেন। বর্তমানে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা প্রবাসে থাকায়, জমির দেখভাল মূলত নারীরাই করছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়,

রবিবার (৬ এপ্রিল) সকালে একই বাড়ির বাসিন্দা মো. জসীম উদ্দিন ও নুরুজ্জামানসহ আরও কয়েকজন জোরপূর্বক ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন এবং সেখানে বেড়া দিতে শুরু করেন। বাধা দিতে গেলে বৃদ্ধা তফুরির নেছা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।

অভিযোগ আরও রয়েছে, এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা এক নারী সদস্য খাদিজা আক্তার শ্লীলতাহানির শিকার হন এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার জানান, “আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে প্রবাসে।

এই সুযোগে নুরুজ্জামের ছেলে রিয়াদ হোসেন আমাকে বারবার কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের পুরো পরিবারকে নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে। ঘটনার দিন আমি মোবাইলে ভিডিও করার সময় তারা আমাকে মারধর করে এবং গলার স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত মো. জসীম উদ্দিন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন,

“এটি জমি সংক্রান্ত একটি স্পর্শকাতর বিষয়। কারো ওপর জোর খাটানোর অধিকার নেই। কাগজপত্র দেখে মালিকানা যাচাই হওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি।”

ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. মাহবুব আলম জানান,

“অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Daily Chandpur Sangbad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *