ফরিদগঞ্জের প্রবাসী সফিকুলের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদগঞ্জের প্রবাসী সফিকুলের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার চরদুঃখিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় গাড়ি চালক সফিকুল ইসলাম সফিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাতারে কর্মরত এবং সেখানকার ফিরিজ আবদুল আজিজ এলাকায় বসবাস করছেন।
প্রবাসে থাকাকালীন তিনি রাজশাহীর এক প্রাক্তন প্রবাসী এবং বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত ফল ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদের সঙ্গে পরিচিত হন।
সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে মামুনুর রশিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে পণ্য অর্ডার করে দেন।
সম্প্রতি, সফিকুল ইসলাম মামুনুর রশিদের কাছ থেকে ২৫০ কেজি আম্রপালি জাতের আম অর্ডার করেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
গত ২২ জুন আমগুলো চাঁদপুরের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সফিকুলের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। কুরিয়ার কর্তৃপক্ষ সফিকুলের দেওয়া
মোবাইল নম্বর (01757-197971) এ যোগাযোগ করে পণ্য হস্তান্তর করে। তবে পণ্য হাতে পাওয়ার পর সফিকুল ইসলাম টাকা পরিশোধে আগ্রহ দেখাননি।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ
ভুক্তভোগী মামুনুর রশিদ জানান, বহুবার যোগাযোগ করেও তিনি তার পাওনা অর্থ ফেরত পাননি। বরং বারবার চেষ্টা করেও প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
মামুনুর রশিদ একজন প্রতিবন্ধী, যিনি কাতারে একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দেশে ফিরে এসে এখন চরম কষ্টে ফল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
তার মতে, সফিকুল ইসলাম কাতারে বসে দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমনভাবে প্রতারণা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
একাধিক সূত্র দাবি করেছে, সফিকুল ইসলাম কাতারে বসে বিভিন্ন সময় পণ্য অর্ডার করলেও দেশে পৌঁছার পর অর্থ পরিশোধ করেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী জানান, সফিকুল একজন প্রতারক প্রকৃতির লোক এবং তার বিরুদ্ধে আরও অনেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনায় মামুনুর রশিদসহ একাধিক ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সমাজের সাধারণ মানুষকে এই ধরনের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তারা।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও স্পষ্ট হলো, প্রবাসে থাকা অবস্থায় কেউ পরিচিত হোক বা অপরিচিত—বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি। সঠিক তথ্য যাচাই এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত না করে লেনদেন করা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

