নারীরা স্বাবলম্বী হলে সমাজে মর্যাদা বাড়ে : ডিসি মোহসীন উদ্দীন
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে শুরু হলো ২০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দীন।
আয়োজনে ছিল চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিসি মোহসীন উদ্দীন বলেন,
“এই মেলার আয়োজনে যাঁরা যুক্ত আছেন, বিশেষ করে উইমেন চেম্বার অব কমার্সকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
মূলত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশাখী মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে আমি বিশেষভাবে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেছিলাম। তাদের আর্থিক পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখে মেলার সময়সীমা ২০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারলে সমাজে তাদের অবস্থান দৃঢ় হবে। বাবা, স্বামী, ভাই কিংবা সন্তান—সব সম্পর্কেই নারীরা সম্মান পাবে যদি তারা নিজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়ে ওঠে।
এই উপলব্ধি থেকেই আমি এই মেলার অনুমতি দিয়েছি, যাতে চাঁদপুরের নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের দক্ষতা এবং পণ্যের মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে পারেন।”
জেলা প্রশাসকের হুশিয়ারী
মেলার নীতিমালার প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক সাফ জানিয়ে দেন,
“শর্তে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র চাঁদপুর জেলার নারী উদ্যোক্তারাই মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
যদি এর বাইরে কারো উপস্থিতি পাওয়া যায়, তাহলে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, আমরা যেন স্থানীয় নারীদের সুযোগ করে দিই।”
শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণে মেলা আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“এই স্থানটির একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মর্যাদা রয়েছে। এখানে জুতা নিয়ে প্রবেশ করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা পরিবেশের পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কিছু বরদাশত করা হবে না।
শহীদ মিনার শুধুই একটি স্মারক নয়, এটি আমাদের মূল্যবোধের প্রতীক—এটি আমাদের সম্মান করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রাকিব পিপিএম।
তিনি মেলার সার্বিক নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
এই মেলা শুধুমাত্র একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়, বরং এটি চাঁদপুরের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ হয়ে উঠেছে—
নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদা অর্জনের এক মঞ্চ।

