জাটকা নিধনে জড়িতদের কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোর্টার : “জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে”—এই বার্তা নিয়েই চাঁদপুরের হাইমচরে শুরু হয়েছে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫’।
সোমবার দুপুরে উপজেলার নীলকমল বারতহবিল চরে এক বর্ণাঢ্য নৌ র্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা তৈরির এই আয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন স্পষ্টভাবে জানান,
“হাইমচর উপজেলা হলো জাটকা ইলিশের অন্যতম প্রধান প্রজনন ও বিচরণ কেন্দ্র। এই গুরুত্বপূর্ণ মাছ রক্ষায় আমরা কোনোভাবেই ছাড় দেব না।”
তিনি আরও বলেন,
“এবার প্রশাসন আগেভাগেই সক্রিয় হয়েছে, ফলে বাইরের জেলেরা নদীতে ঢোকার সুযোগ পায়নি।
তবে গোয়েন্দা সূত্রে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, স্থানীয় কিছু ইউপি সদস্যই এই জাটকা নিধনের মূল পরিকল্পনাকারী।
তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদি কোনো জেলে নদীতে নামতে দেখা যায়, তাহলে তাদের পেছনে যাঁরা রয়েছেন—তালিকা করে একে একে মামলা করা হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান ও কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার এম ফজলুল হক।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এবিএম আশরাফুল হক, নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কংকন কুমার বিশ্বাস,
নীলকমল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মনির শিকদারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি।
এই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো—
মৎস্যসম্পদ রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করা এবং জাটকা ধ্বংসের পেছনে থাকা চক্রকে আইনের আওতায় আনা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, জাটকা ধরা শুধু একটি আইন লঙ্ঘন নয়, বরং এটি জাতির গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হরণ করার শামিল।

