মতলব উত্তরে চাঁদার দাবিতে হালচাষে বাধা ও হামলার অভিযোগ

মতলব উত্তরে চাঁদার দাবিতে হালচাষে বাধা ও হামলার অভিযোগ

উপজেলা সংবাদ মতলব উত্তর উপজেলা স্লাইড

মতলব উত্তরে চাঁদার দাবিতে হালচাষে বাধা ও হামলার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় চাঁদার দাবিতে জমিতে হালচাষ করতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের বিনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিনন্দপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান মিয়াজী ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর তার ভাই শাহ আলম মিয়াজীর কাছ থেকে ১৩১ নম্বর বড় লক্ষীপুর মৌজার বিএস ২৫৮ এবং ১৬৭ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১৫ শতাংশ জমি সাব-কাবলা দলিলের মাধ্যমে কিনে নেন।

পরবর্তীতে শাহ আলম মিয়াজী উক্ত জমি ফেরত দাবি করলে হান্নান মিয়াজী তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপরই শাহ আলম তার ভাইয়ের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। চাঁদা না দেওয়ায় ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর হান্নান মিয়াজী ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন তিনি। ওই ঘটনার পর হান্নান মিয়াজী আদালতে মামলা দায়ের করেন, যা বর্তমানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, মতলব উত্তরে বিচারাধীন রয়েছে (মামলা নং- ৪৩৯/২০২৪, ধারা- ১৪৩/৩২৩/৪৪৭/৩৮৫/৫০৬ (২)/৩৪ দণ্ডবিধি)।

হান্নান মিয়াজী জানান, “আমি বৈধভাবে জমির মালিকানা পেয়েছি, অথচ এখন তা ফেরত চাওয়া হচ্ছে। চাঁদার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে এবং জমিতে হালচাষ করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ ফের হামলার শিকার হই। শাহ আলম মিয়াজী, তার স্ত্রী শিরিনা বেগম, ছেলে সৌরভ, শুভ প্রকাশ নাঈমসহ আরও কয়েকজন আমাকে, আমার স্ত্রী জোহরা আক্তার ও ছেলে নাবিলকে মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছি।”

অন্যদিকে, অভিযুক্ত শাহ আলম মিয়াজী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “জমি বিক্রির সময় ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। চাঁদা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল হক জানান, “এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এখন দেখার বিষয়, প্রশাসনের তদন্তে কী বেরিয়ে আসে এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না।

Daily Chandpur Sangbad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *