চাঁদপুর মঠখোলায় চাঁদাবাজ চক্রের কবলে ব্যবসায়ী, আতঙ্কে তার পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর মঠখোলায় চাঁদাবাজ চক্রের কবলে ব্যবসায়ী, আতঙ্কে তার পরিবার।
চাঁদপুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মঠখোলা খলিশাঢুলী এলাকার বাসিন্দা এবং কাপড় ব্যবসায়ী ফজলুল হক পাটওয়ারী বর্তমানে চাঁদাবাজ চক্রের শিকার।
গত পাঁচ মাস ধরে তিনি এই চক্রের অত্যাচারের মুখে পড়েছেন এবং ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দিয়েছেন।
এখন তার কাছ থেকে আরো ৫ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে, যার ফলে তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
ফজলুল হক পাটওয়ারী (৪৪) স্থানীয় মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র।
তার ব্যবসা রাজধানী ইসলামপুরে কাপড়ের দোকানে, এবং তার পরিবারে ৪টি কন্যা সন্তান এবং স্ত্রী রয়েছেন।
সম্প্রতি তার পিতা মারা গেছেন এবং পরিবারে তার কোনো ভাই বা ছেলে নেই।
ফজলুল হক জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে তিনি তার বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন।
তখনই স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ তাদের কাজে বাধা দেয় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
ওই সময় মঠখোলা শাহী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোস্তফার মাধ্যমে চাঁদাবাজদের এক সদস্যকে ৩ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
প্রমাণ রেখে দেওয়ার জন্য চেকটি ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়া, ওই চাঁদাবাজের চাচাতো ভাইকে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হয় ইমামের মাধ্যমে।
টাকার লেনদেন
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তার সমস্ত প্রমাণ তিনি রেখেছেন, এবং প্রয়োজন হলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এসব প্রমাণ তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জমা দেবেন। তবে, বর্তমানে তিনি পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে চাঁদাবাজ চক্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
খবর অনুযায়ী, এই ঘটনার পর ইমাম মাওলানা মোস্তফা চাঁদাবাজদের অনুরোধ করে ফজলুল হককে আর কোনো ধরনের হয়রানি না করার জন্য বলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গা-ছাড়া মনোভাবের কারণে ফজলুল হক এবং ইমাম বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।
বর্তমানে, ফজলুল হক তার বাড়ির সীমানা প্রাচীরের কাজ নিয়ে আবারো শঙ্কিত। কারণ, চাঁদাবাজরা আরও টাকা দাবি করছে। এই অবস্থায় তিনি বর্তমান সরকারের নিকট আইনগত সহায়তা চেয়ে সাহায্য কামনা করেছেন, যাতে তিনি এবং তার পরিবার চাঁদাবাজদের হাত থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন।

