চাঁদপুর চিলড্রেন একাডেমির আয়োজনে দেশজ ফল উৎসব ও মেধাবৃত্তি প্রাপ্তদের সংবর্ধনা
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর চিলড্রেন একাডেমির আয়োজনে দেশজ ফল উৎসব ও মেধাবৃত্তি প্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে শহরের ওয়্যারলেস বাজারে অবস্থিত একাডেমির হলরুমে এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন সম্পন্ন হয়।
ফল উৎসবে একাডেমির শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের দেশীয় ফল প্রদর্শন করে। প্রত্যেকে একে অপরকে ফলগুলোর নাম,
পরিচিতি ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানায়। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করে পুরস্কারও দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাসার শেখ।
শুভ সূচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির অধ্যক্ষ মো. কাউছার পাটওয়ারী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমেনা বেগম, সাবিনা ইয়াসমিন ও নাজমুল হোসাইন এর পরিচালনায় অতিথি শিক্ষক মো. সোহাগ প্রধানীয়া
(সরদার খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়), একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী, শিক্ষানুরাগী বাবুল সর্দার এবং অভিভাবক মো. রাসেল আলম।
সংস্লিষ্টদের বক্তব্য
বক্তারা বলেন, চাঁদপুর চিলড্রেন একাডেমি শুধু পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং শিশুদের সৃজনশীল ও বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেয়।
দেশীয় ফল চেনা এবং ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানানো এই আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে শিশুরা যেমন হারিয়ে যেতে বসা দেশীয় ফল সম্পর্কে জানতে পারছে, তেমনি ফল খাওয়ার প্রতি আগ্রহও তৈরি হচ্ছে।
শিশুদের অংশগ্রহণ ও উচ্ছ্বাস তাদের মানসিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
বক্তারা আরও জানান, এ বছর বিভিন্ন বৃত্তি পরীক্ষায় চাঁদপুর চিলড্রেন একাডেমির ৩১ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি অর্জন করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মানের একটি প্রমাণ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এই পর্বে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত ২৫ জন, দি ঢাকা ক্যাডেট কেয়ার বৃত্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত ৩ জন এবং
মিরপুর ক্যাডেট মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত ৩ জন শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, সম্মাননা এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন গাজী, সাধারণ সম্পাদক শাহানারা আক্তার রুমা, পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, জিয়া পাটোয়ারী, মো. আল আমিন, শ্রী সুমন চন্দ্র শীল, মো. কবির খলিফা, কবির খান, মো. সোহেল পাটোয়ারী, পলাশ মোল্লা, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন মোল্লা, মো. রাসেল শেখ, ফরিদ হোসেন গাজী, তানজিলা আক্তার, রানা হাওলাদার।
পুরো অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করেন সহকারী শিক্ষক রাবেয়া আক্তার, সামিয়া আক্তার, শাহানারা আলম, শিখা আক্তার, রোমেন হোসেন, জাকিয়া ইসলাম, রেশমিন আক্তার, সাবিনা ইয়াসমিন, মরিয়ম আক্তার প্রেমা, ফারহা দিবা, মো. নজরুল হোসাইন, সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন আক্তার।

