চাঁদপুরে পিকআপ ভর্তি ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ, আটক ২ জন

চাঁদপুরে পিকআপ ভর্তি ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ, আটক ২ জন

উপজেলা সংবাদ সদর উপজেলা স্লাইড

চাঁদপুরে পিকআপ ভর্তি ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ, আটক ২ জন

চাঁদপুরে পিকআপ ভর্তি ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ, আটক ২ জনস্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে পিকআপ ভর্তি ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে।

এসময় আটক করা হয়েছে ২ জনকে।

পরিপূর্ণ ইলিশে পরিণত হওয়ার সুযোগ দিতে দেশের জলাশয়গুলোতে প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা আহরণ, বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়। একই উদ্দেশ্যে, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরায়ও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে।

তবে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবারও চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে চলেছে নির্বিচারে জাটকা নিধন।

এ নদী থেকে জাটকা তুলে তা শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হচ্ছে।

এমনকি নৌপথ ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও পাঠানো হচ্ছে প্রকাশ্যে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে,

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ বঙ্গবন্ধু সড়কের মিশন রোড মোড় থেকে একটি পিকআপ আটক করে।

ঢাকা মেট্রো-ন ১৯-৮৮৮৯ নম্বরের ওই পিকআপটিতে প্রায় ৬০০ কেজি জাটকা ছিল।

মাছ পরিবহনকারী মোস্তফা গাজী ও গাড়িচালক আনোয়ার শেখকে আটক করা হয় অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এসআই মো. আওলাদ হোসেনের দ্বারা।

পরে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ হকের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক দুজনের মধ্যে একজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন এবং দুজনের মোট ৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

উদ্ধার করা জাটকা মাছ স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্দেশে, এসব মাছ পরবর্তীতে স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও এতিমখানায় বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পর্যবেক্ষকদের মত

পর্যবেক্ষকদের মতে, চলতি বছর নিষেধাজ্ঞার পুরো সময়জুড়েই চাঁদপুর অঞ্চলে জাটকা নিধন বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এতে আগামী ইলিশ মৌসুমে সরাসরি প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও, জাটকা শিকার, পরিবহন ও বিক্রয় পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এর আগে মতলব এলাকায় নদীপথে বেশ কয়েকটি বড় চালান জব্দ করা হলেও, সড়কপথে চাঁদপুর শহরে এটি ছিল প্রথম বড় জব্দের ঘটনা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইলিশ শুধু বাংলাদেশের জাতীয় মাছই নয়, বরং এটি আমাদের আবেগ, ঐতিহ্য এবং অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লাখো জেলে পরিবার এই মাছের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ অবৈধভাবে জাটকা আহরণ ইলিশের প্রাকৃতিক প্রজনন প্রক্রিয়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। আগে যেখানে মেঘনায় ভোর হলেই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ত, এখন সেই চিত্র হারিয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা নিধনকে। তাই জাতীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর নজরদারি এবং সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Daily Chandpur Sangbad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *