চরলক্ষীপুরে নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রকল্পের আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের

চরলক্ষীপুরে নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রকল্পের আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের

উপজেলা সংবাদ মতলব উত্তর উপজেলা স্লাইড

চরলক্ষীপুরে নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রকল্পের আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের

চরলক্ষীপুরে নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রকল্পের আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডেরস্টাফ রিপোর্টার : চরলক্ষীপুরে নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রকল্পের আশ্বাস দিল পানি উন্নয়ন বোর্ড

মতলব উত্তর উপজেলার চরলক্ষীপুর গ্রামে মেঘনা ধনাগোদা নদীর তীব্র ভাঙন পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেঘনা ধনাগোদা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম শাহেদ এ আশ্বাস দেন।

গত শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় পত্রিকায় ‘মেঘনা ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গনে আতঙ্কে তিন হাজার মানুষ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এই পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

পরিদর্শনে প্রকৌশলী সেলিম শাহেদ

পরিদর্শনে গিয়ে প্রকৌশলী সেলিম শাহেদ বলেন,

“ভাঙন পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়ে স্থায়ী প্রকল্পের প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।

দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চরলক্ষীপুর গ্রামে নদীভাঙনের কারণে ইতোমধ্যে শতাধিক বসতঘর, বিপুল ফসলি জমি, পারিবারিক কবরস্থান এবং একটি মাদ্রাসা ধ্বংসের মুখে পড়েছে।

গ্রামটির একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চরলক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এখন ভাঙনের একেবারে নিকটবর্তী অবস্থানে রয়েছে—যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ এইচ এম জামাল সাকিব জানান,

“এই গ্রামে একটি মাত্র স্কুল রয়েছে। নদী যদি এভাবে এগোতে থাকে, তাহলে স্কুলটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।”

ভাঙ্গনের প্রভাব

ভাঙনের কারণে এলাকার কৃষিজীবী মানুষের জীবিকা আজ হুমকির মুখে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা কৃষি কাজ করেই জীবিকা চালাই। কিন্তু এখন জমি তো দূরের কথা, বসতভিটাটুকু নিয়েও আমরা অনিশ্চয়তায় রয়েছি। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ—যেকোনোভাবে আমাদের এই গ্রামটি রক্ষা করুন।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, তারা শুধু চরলক্ষীপুর নয়, আশপাশের অন্যান্য ভাঙন কবলিত এলাকাও পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই প্রতিরোধ প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন সুলতানাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী প্রধা, বিশিষ্ট মুরুব্বী আলহাজ্ব কাজি নাসির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইলিয়াস প্রধান, আলহাজ্ব আব্দুল কাদির প্রধানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
চরলক্ষীপুরের নদীভাঙন আজ শুধু একটি ভৌগোলিক দুর্যোগ নয়, বরং মানুষের জীবন-জীবিকার এক বাস্তব সংকট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হয়তো এখনো কিছুটা রক্ষা সম্ভব। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি—স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

Daily Chandpur Sangbad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *