খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয় — জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন
আরিফুর রহমান : খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয় — জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চান্দ্রা বাজার ইয়াকুব আলী স্মারক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮১তম
বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মোহসিন উদ্দিন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,
“পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়।
তবে দুঃখজনকভাবে বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে,
যা তাদের সৃজনশীলতার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।” তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকদের শুধু পাঠদানেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না,
বরং শিক্ষার্থীদের ভেতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাগুলোও খুঁজে বের করার দায়িত্ব নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান দিয়েই গড়ে তোলা যাবে না, তাদের সফল ব্যক্তিদের গল্প শুনিয়ে অনুপ্রাণিত করতে হবে।”
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯:৩০ মিনিটে বিদ্যালয়ের মাঠে পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ এরশাদ উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জিয়াউল হক মিলন এবং চান্দ্রা বাজার ইয়াকুব আলী স্মারক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আওলাদ হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী শেষে জেলা প্রশাসক মোঃ মোহসিন উদ্দিন চান্দ্রা বাজার নূরীয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন এবং সেখানে শিক্ষার মান উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন। এসময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এটিএম মোস্তফা হামিদীসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়, যা ভবিষ্যতে তাদের শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

