কচুয়ার সেঙ্গুয়া গ্রামে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন

কচুয়ার সেঙ্গুয়া গ্রামে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন

উপজেলা সংবাদ কচুয়া উপজেলা

কচুয়ার সেঙ্গুয়া গ্রামে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন

কচুয়ার সেঙ্গুয়া গ্রামে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলনকচুয়া প্রতিনিধি : কচুয়ার সেঙ্গুয়া গ্রামে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় বিপাকে দুটি পরিবার

উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামে অবৈধভাবে পুকুর থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে

দুটি পরিবারের ঘরবাড়ি ও স্থাপনাসমূহ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। পুকুর পাড় ভেঙে ইতোমধ্যে এসব পরিবারের বেশ কিছু গাছ,

টিউবওয়েল, রান্নাঘর এবং স্যানিটারি শৌচাগার পানিতে তলিয়ে গেছে।

যেকোনো মুহূর্তে বসতঘর ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়,

দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী একটি মহল পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলায় ব্যস্ত।অভিযোগ উঠেছে, ২০১৫ সালে সেঙ্গুয়ার কাশেম আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম খন্দকার,

আজগর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান এবং সাহের আলীর ছেলে আলী আহম্মদ মিলে পাশের খিলমেহের গ্রামের ড্রেজার চালক

মকবুল পাঠানের সহযোগিতায় পুকুরের বালু দিয়ে ভরাট করে বসতঘর নির্মাণ শুরু করে।

এর ফলে পুকুরপাড়ে থাকা নিরীহ জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ও সোলাইমান খন্দকারের ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দেয় এবং আশপাশের অংশ ভেঙে পুকুরে তলিয়ে যেতে থাকে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানান, দিনের পর দিন তাদের ঘরবাড়ি এবং জীবনযাত্রা হুমকির মুখে পড়লেও প্রতিপক্ষরা কোনো ধরনের সহযোগিতা তো করছে না,

বরং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন, যাতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়।

স্থানীয় বিএনপি নেতা গাজী সফিক এবং যুবদল নেতা মহিউদ্দিন মহিন বলেন, “আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি।

দুটি পরিবার এখন ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা খুবই দুঃখজনক এবং এটি দ্রুত বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।”

ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন মহল দ্রুত প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন,

যাতে কোনো প্রকার বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগে সমাধান সম্ভব হয়।

Daily Chandpur Sangbad

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *