উদ্ভাবন, আত্মপ্রত্যয় ও সাফল্যের গল্পে অনুপ্রাণিত হলো দিনব্যাপী আয়োজন
মাহমুদুর রহমান, ঢাকা থেকে : উদ্ভাবন, আত্মপ্রত্যয় ও সাফল্যের গল্পে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘টেডএক্সড্যাফোডিলইউ ২০২৫’।
“টার্নিং পয়েন্ট: দ্য ব্রেকথ্রো” প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই আয়োজনে বক্তারা তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া অভিজ্ঞতা ও চিন্তাধারা ভাগাভাগি করে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিলেন সাহস, অনুপ্রেরণা ও নতুন করে ভাবার শক্তি।
ডিআইইউ-এর সাভার ক্যাম্পাসে অবস্থিত মিডিয়া ল্যাবে এই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এইচআরডিআই)।
এ বছরের আয়োজনটি প্রেজেন্ট করেছিল ‘দ্য প্রিমিয়াম হোমস লিমিটেড’।
অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন খাতে সফল ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। কৃষি খাতে অনন্য অবদান রাখা এবং জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক
ড. এম এ রহিম, যিনি বর্তমানে ডিআইইউ-এর কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান, তার বক্তব্যে কৃষির আধুনিকায়ন ও আত্মনির্ভরতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পরিবেশবান্ধব টেকসই ব্যবসা মডেল ও কার্বন ক্রেডিট নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তা শুভাশীষ ভৌমিক তুলে ধরেন পরিবেশ ও অর্থনীতির সমন্বিত উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি।
স্বাস্থ্য খাতে গবেষণাভিত্তিক কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ডা. আওসাফ করিম।
তরুণদের অংশগ্রহণ ছিল এবারের আয়োজনে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। মঞ্চে নিজেদের আত্মসংগ্রামের গল্প শুনিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন তরুণ উদ্যোক্তা উম্মে মাইসুন ও তামজিদ রহমান।
এ ছাড়া হাইব্রিড অ্যাথলেট সাজিদ হাসান খান তার ব্যতিক্রমী জীবনপথ ও অর্জনের গল্প শোনান, যা তরুণদের জন্য ছিল গভীরভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক।
প্রফেসর ড. মো. রকিবুল কবির এর বক্তব্য
আয়োজন সম্পর্কে টেডএক্সড্যাফোডিলইউ ২০২৫-এর আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. রকিবুল কবির বলেন,
“এবারের প্রতিপাদ্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ছিল সময়োপযোগী এবং তা প্রতিটি বক্তার জীবনের গল্পের সঙ্গে মিলে গেছে।
এই প্ল্যাটফর্ম শুধু অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জায়গা নয়, বরং নতুন স্বপ্ন ও সাহস খোঁজার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।”
টেড (TED) মূলত একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রযুক্তি, বিনোদন ও নকশা সংক্রান্ত চিন্তাশীল ও উদ্ভাবনী ভাবনার মানুষজন তাদের
‘ছড়ানোর মতো আইডিয়া’ উপস্থাপন করেন। এর স্থানীয় সংস্করণ ‘টেডএক্স’ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় এবং নির্দিষ্ট অঞ্চলের উদ্ভাবনী ভাবনা
ও চিন্তাধারাকে আরও বিস্তৃত পরিসরে পৌঁছে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা, সৃজনশীলতা ও জ্ঞানকে জাতীয় এবং
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার একটি সক্রিয় মঞ্চ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে।

