ঈদের আগের দিন গাজায় ইসরাইলি বাহিনী ভয়াবহ হামলা
স্টাফ রিপোর্টার : ঈদের আগের দিন গাজায় ইসরাইলি বাহিনী ভয়াবহ হামলা।
মধ্যপ্রাচ্যে ঈদুল আজহার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ার আগমুহূর্তে, গাজায় ফের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়,
ওই দিনের হামলায় অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৮৯ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে বলা হয়েছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। এরপর থেকে টানা ২০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪,৬৭৭ জন।
আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১,২৫,৫৩০। এদের মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরাইল সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল।
কিন্তু যুদ্ধবিরতির দুই মাস না যেতেই ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।
দ্বিতীয় দফার এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত আরও ৪,৬০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৩,৪০৯ জন।
এদিকে, ইসরাইলি বাহিনীর দাবি—হামাসের হাতে আটক থাকা ৫৮ জন জিম্মির মধ্যে প্রায় ৩৫ জন এখনো জীবিত।
তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান চালানো হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবও পেশ করা হয়, যেখানে অবরুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রস্তাবে ভেটো প্রদান করায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নিঃশেষ ও জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত তারা অভিযান চালিয়ে যাবে। সূত্র: মেহের নিউজ

