আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘বঙ্গরত্ন সম্মান’ পেলেন চাঁদপুরের অভিনেতা শান্ত চন্দ্র সূত্রধর
স্টাফ রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘বঙ্গরত্ন সম্মান’ পেলেন চাঁদপুরের নাট্যশিল্পী ও অভিনেতা শান্ত চন্দ্র সূত্রধর।
২৮ ও ২৯ জুন কলকাতার ICCR (Indian Council for Cultural Relations) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত
“Bangashree 2025” আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক মেলায় তাকে সম্মানিত করা হলো ‘বঙ্গরত্ন সম্মান’ দিয়ে।
Cultural Development Foundation-র আয়োজন সংগীত, নৃত্য ও নাটকের এক দারুণ মহাউৎসব।
বিশ্বজুড়ি থেকে আগত শিল্পীদের সমাবেশে শান্ত চন্দ্র তাঁর ১৬ বছরের মঞ্চ–মিডিয়া অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানটি গ্রহণ করেন।
শান্ত চন্দ্র সূত্রধর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাট্যে স্নাতক (Honours) করেছেন,
যেটি তিনি ICCR-র স্কলারশিপ প্রাপ্ত হিসেবে সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন, এবং এক মাসের মধ্যেই তার এই পথচলা শেষ হবে।
শুধু অভিনয় নয়, শান্ত চন্দ্র তাঁর মেধা ও দক্ষতা অর্জন করেছেন নাট্যশিক্ষকদের কাছে – বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের,
নরওয়ের ও অন্যান্য দেশের প্রশিক্ষক ও শিল্পীদের তত্ত্বাবধানে। এই বহুমাত্রিক শিক্ষার ছাপ তাঁর কাজের প্রতিটি দিকে স্পষ্টভাবে মেলে।
সম্প্রতি মুক্তির জন্য প্রস্তুত তাঁর অভিনীত সিনেমা “উড়াল”, যা পরিচালনা করেছেন জোবাইদুর রহমান।
এখানে শান্ত চন্দ্র একটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিষিক্ত হচ্ছেন—অভিনয়জীবনের আরেক দারুণ অধ্যায় হিসেবে এটি বিবেচিত হবে।
শান্ত সূত্রধরের নাট্যপথের শুরু চাঁদপুরের সুপরিচিত সাহিত্য–নাট্যগোষ্ঠী “বর্ণচোরা” থেকে। এখানে তাঁর প্রাথমিক প্রশিক্ষক ছিলেন চাঁদপুরের বিশিষ্ট নাট্যনির্দেশক ও অভিনেতা শরীফ চৌধুরী। তার পরবর্তী পথচলায় তিনি কলকাতা, চাঁদপুর ও বাংলাদেশের বিভিন্ন নাট্য মঞ্চ ও প্রযোজনায় অভিনয় করতে গিয়েছি—যার ফলস্বরূপ পেয়েছেন দর্শক-সম্মান ও প্রশংসা; আর এবার অর্জিত হল আন্তর্জাতিক ‘বঙ্গরত্ন সম্মান’।
শান্ত সূত্রধরের বাবা, লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর, চাঁদপুরের একজন সম্মানিত সাংবাদিক এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুপরিচিত।
এই গৌরবময় সম্মান প্রদান করেন উৎসব পরিচালক ডঃ উপেন্দ্র কুমার শর্মা, যিনি UNESCO-এর CID-এর আন্তর্জাতিক নৃত্য পরিষদের সদস্য ও India Chapter-এর প্রেসিডেন্ট।
শান্ত চন্দ্র সূত্রধর তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন
“এই সম্মান আমার ব্যক্তিগত নয়; এটি আমার চাঁদপুর, আমার শিক্ষক, সহশিল্পী ও শুভানুধ্যায়ীদের। বাংলা নাটক ও সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা—এটাই আমার জাদুঘরের পথ।”
এই নয়নেরকাড়া সাফল্য শুধু শান্ত চন্দ্র সূত্রধরের নয়, বরং চাঁদপুরের শিল্পপ্রেমীদেরও এক গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্ত।

